কক্সবাজার, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

রামুতে পাহাড়ি ১০ গ্রামে ডাকাত আতংক – মাইকিং ও পাহারা বসিয়েছেন গ্রামবাসী

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ ডাকাত আতংকে আজ এক সপ্তাহ। আর এর পর থেকে ডাকাত থেকে বাঁচতে তারা বসিয়েছেন গ্রামে গ্রামে পাহারা।
আর এ খবর পেয়ে শনিবার (৬ মার্চ) রাত থেকে এলাকাবাসীর সাথে যোগ দেন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও।
স্থানীয়রা জানান,এ এলাকার পাশে গ্রাম থেকে গত বুধবার (২ মার্চ) সকালে ১ মটর বাইক ও ২ কৃষককে ডাকাত দল কর্তৃক অপহরণের পর থেকে ডাকাত আতংক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র । পুলিশ বলেছেন,তারা শনিবার রাতে ডাকাত আতংক বিরাজ করার খবর জেনে রাত অবধি অভিযান চালিয়েছেন কয়েকটি এলাকায়। তারা লোকজনকে সর্তক রেখেছেন,পাশাপাশি নিরাপত্তা ও দিচ্ছেন।
সরেজমিন গিয়ে আরো জানান,
গত মঙ্গলবার গর্জনিয়া থেকে অপহৃতরা অপহরণের ২২ ঘন্টা পর ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণে মূক্তি পেয়ে বাড়ি ফেরার পর অপহৃতদের বন্দিদশার গল্প শুনে
হতবাক হয়ে যান আশপাশের ডজনাধিক গ্রামের মানুষ ।
এর পরদিন এ সওদাগর পাড়ার ঠিক
১ কিলোমিটার দক্ষিনে ডাকভাঙ্গা
গ্রামে সন্ধ্যার পর ১২/১৪ জনের ডাকাত দল দেখে মৌ,আবদু ছালামের বাড়ির পাশের মসজিদে রাতে ডাকাত নেমেছে,ডাকাত তাড়াতে বেরিয়ে পড়
ইত্যাদি উক্তিতে মাইকিং করা হয়।
আর মোবাইলে-মোবাইলে ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় ডাকাত
আতংক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
শহরআলী চর,ডেইংগার চর,ফকিন্নির চর সহ আশপাশের ১০
গ্রামের বাসিন্দা যথাক্রমে,রশিদ আহমদ,ওয়াহিদুর রহমান,শফিউল সওদাগর,হাছিরাম নাথ,মানিক চন্দ্র নাথ বলেন,তারা ১০ গ্রামের শতশত
মানুষ গত ১ সপ্তাহ ধরে ডাকাত পাহারা দিচ্ছে। তারা আতংকে দিন কাটাচ্ছে।
শহর আলীর চরের অনেকে বলেন,
পুলিশ শনিবার( ৬ মার্চ) রাত ৯ টার দিকে ফকিন্নির চর সহ ২/৩ গ্রামে এ সময় টহল দেন এবং মাইক্রো ফোনে অভয় দিয়ে বক্তব্য দেন বার বার ।
তারা আরো বলেন,এ সময় শনিবার
একই সময় রাতে শহর আলী চর মসজিদ,ডাকভাঙ্গা জামে মসজিদ ও ফকিন্নির চর মসজিদের
মাইকে ডাকাত বিষয়ে সতর্ক থাকার ও অভয় দিয়ে মাইকিং করা হয়।
এদিকে ডেইঙ্গার চরের বাসিন্দা ননাই চন্দ্র নাথ বলেন,তারা ৩/৪ দিন ধরে ডাকাত আতংকে থাকলেও কেউ তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন না।
তারা পুলিশ সহ সকলের সহায়তা চান এ সময়।
রামু থানাধিন গজর্নিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মো:ফরহাদ আলী বলেন,তারা ডাকাত বিষয়ে সতর্ক আছেন। আর আতংকিত লোকজনকে অভয় দিতে সদা তৎপরও রয়েছেন তারা।

পাঠকের মতামত: